এভাবে আর কতদিন...এবার অন্তত রেহাই দাও!
নাহ, এভাবে আর ভালো লাগছে না। এভাবে কতদিন থাকা যায়? আগের সাধারণ দিনগুলোর কথা ভাবলেই এখন খারাপ লাগে। কি সুন্দর কর্মব্যস্ত সুখী দিন ছিলো সেগুলো! কলেজ, কোচিং, বন্ধুদের সাথে আড্ডা, রাতের পড়াশোনা, গল্প-উপন্যাস, ফেসবুকিং/ইউটিউব সব হতো সব! তখন যেমন পড়াশোনাও করতাম তেমনি নানা আউট ওয়ার্ক এ জড়িয়ে ছিলাম।কিন্তু এই করোনার আসার পর আমরা কেমন এক অলস জীবনের রুটিনে চলে এসেছি।
করোনা আসার প্রথম দিকেও তেমন কোন ক্ষতি হয় নাই আমার ছাত্র জীবনে। প্রথম দিকে ঘরে বসে থাকলেও পড়তাম। কবে এইচএসসি হবে সেই প্যারা নিয়ে হলেও কিছুটা পড়া ঠিকই হতো। এরপর দিলো অটোপাশ। তাতেও পড়ালেখার একটা ঢাল তৈরি হয়েছিলো যে, সামনে এডমিশন! দেশেও করোনা পরিস্থিতি কিছুটা ভালো। কিন্তু একের পর এক তারিখ পেছানোতে তা একদম শেষ!
এই যে কিছুদিন পর পর ফেসবুকে আমার
নানা হাসিমুখের দেখেন! আপনারা হয়তো ভাবেন খুব সুন্দর ( প্যারা নাই চিল ) দিন যাচ্ছে
আমার। কিন্তু তা না, সারাদিন ঘরে বসে একঘেয়েমি থেকে বিকেলে একটু বের হয়ে যা আড্ডা
দেওয়া হয় আরকি। কিন্তু পড়ালেখা? সেটা ভাই ঢাবি’র এক্সাম লাস্ট বার পেছানোর পর আর হয়নি।
সব কিছুর এভাবে থেমে থাকা প্রথম কিছুদিন মানা গেলেও এখন আর মানা যাচ্ছে না। পরিচিত
অনেকেই প্রাইভেট ভার্সিটিগুলোতে ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। সেটা আমার সম্ভব না। লকডাউন থাকলেও
ওদের সেমিস্টার শুরু হয়ে যাবে। সাথের বন্ধুদের কথা ভাবলে ডিপ্রেসড হওয়া ছাড়া উপায় নাই।
[ তাও আবার কথা আছে, এতো গ্যাপের পর পরীক্ষা হলে চান্স পাবো কি পাবো না? ]
এই তো গেলো একটা টপিক। এদিকে বাংলাদেশের যা অবস্থা তাতে টপার অথবা মামা/চাচা না থাকলে ভালো চাকরি নেই। তাও আবার বয়সের একটা সীমা আছে। এই করোনায় আমাদের প্রায় দেড় বছর অলরেডি ভ্যানিস করে দিয়েছে। আর এডমিশন টেস্টের তারিখ পেছাতে পেছাতে আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মানে এই বছরও প্রায় শেষ। তাও আবার পাব্লিক ভার্সিটিগুলোতে ‘সেশনজট’ নামে পুরানা রীতিনীতি আছে। সব মিলিয়ে ‘আকাশ ভরা তারা’ আমাদের চেয়ে ভালো কেউ দেখছে/দেখবে না বলেই মনে হয়। তাই ব্যবসার চিন্তা আগে থেকে যেমন ছিলো এখন সেটা আরো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। কিন্তু এখনি সেটা দাঁড়া করানোর কোন উপায় দেখছি না!
তবে এই যে এতোদিন ধরে করোনার দফায় দফায় আক্রান্তের হার বৃদ্ধি এগুলো কিন্তু আমাদের অসচেতনতার জন্যই হয়ছে। সংক্রমনকে ভয় না পেয়ে হেয় করার দায় ভোগ করছি আমরা। আর এই দায় ভোগ করতে করতেই স্কুল-কলেজ বন্ধ হয়েছে আজ প্রায় দেড় বছর হলো। আজকের নিউজের ব্রেকিং দেখেছেন- 'দেশে ১৪ দিনের শাটডাউন দেওয়ার সুপারিশ'। মানে বুঝসেন তো?
আর ভালো লাগছে না ভাই। সত্যিই আর
ভালো লাগছে না। কিছু একটা তো করা দরকার আমাদের জন্য। অন্তত একটা ট্যাগ !

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার গাঠনিক মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।